বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী সরকার আর কোনও অবলম্বন খুঁজে পাচ্ছে না, তাই ওবায়দুল কাদের মিথ্যার সংস্কৃতি নির্মাণ করে তাদের নেতাকর্মীদের সাহস যোগানোর ব্যর্থ চেষ্টা করছেন।
রিজভী বলেন, সারা দেশের মানুষ শেখ হাসিনার পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের পক্ষে অবস্থান নিয়েছেন। নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের পক্ষে গোটাজাতি ঐক্যবদ্ধ।
শনিবার (১৫ জুলাই) বিকেলে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
রাষ্ট্রের দমনযন্ত্রের প্রয়োগ আর কোনো কাজে লাগবে না বলে উল্লেখ করে রিজভী বলেন, এবার জনগণ স্বৈরাচারী দানবকে বোতলবন্দি করবেই। আমরা সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চাই, হত্যা, হিংসা—হানাহানির পথ থেকে সরে আসুন। যারা বিএনপির শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে নারকীয় আক্রমণ চালাচ্ছেন তাদের স্থির চিত্র, ভিডিও চিত্র মানুষের হাতে হাতে। কোনো অপরাধীই বিনা বিচারে পার পেয়ে যায় না। বাংলাদেশে সরকারি মদদপুষ্ট ঘৃণ্য দুষ্কৃতিকারিদের বিচার হবেই।
বাংলাদেশের নিজস্ব ভূমিতে ক্ষমতাসীনরা সর্বশক্তি নিয়োগ করে গণতন্ত্রের শিকড় উপড়ে ফেলেছে বলে উল্লেখ করেন রিজভী। তিনি বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের মতো কণ্ঠরুদ্ধ করার নানা কালো আইন, গুম, অপহরণ, বিচার বহির্ভূত হত্যার অমানবিক নিষ্ঠুরতা সীমাহীন আবর্তের মধ্যে দেশকে ঠেলে দেওয়া হয়েছে। শিশু ও কিশোর-কিশোরী অসংখ্য ছাত্রছাত্রী তরুণ-তরুণী ও লেখক সাংবাদিক শুধু ভিন্ন মত প্রকাশের জন্য মাসের পর মাস, বছরের পর বছর দানবীয় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে কারাগারে বন্দি রয়েছেন।
এসময় উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের আব্দুস সালাম, উপদেষ্টা আবুল খায়ের ভূইয়া, যুগ্ম-মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সপু প্রমুখ।