জসিম উদ্দিন সরকার: আজ দুই মার্চ মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মোবারক হোসেনের শুভ জন্মদিন। তিনি অনলাইন নিউজ পোর্টাল জনশক্তির সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠের মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর-হরিরামপুর উপজেলা প্রতিনিধি ও বাংলাদেশ সাংবাদিক সমিতির সিঙ্গাইর উপজেলা শাখার আহ্বায়ক। এছাড়া মোবারক হোসেন জাতীয় দৈনিক যায়য়ায়দিন, ইংরেজী দৈনিক বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও দৈনিক টেলিগ্রাম পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন। জন্মদিনে এই কলম সৈনিককে মুঠোফোন, ফেসবুক ও হোয়াটসঅ্যাপে ক্ষুদে বার্তা পাঠিয়ে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিক, রাজনৈতিক দল এবং পেশাজীবি সংগঠনের নেতা, বন্ধু-বান্ধব ও অসংখ্য শুভাকাঙ্খী।
সাংবাদিক মোবারক হোসেন ১৯৭৯ সালের এই দিনে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলার ধল্লা ইউনিয়নের পূর্ব বাস্তা গ্রামের পৈতৃক নিবাসে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা মো: দুলাল মিয়া ও মা প্রয়াত জামিলা খাতুন। তিন ভাই ও দুই বোনের তিনি মধ্যে তৃতীয়। ব্যক্তি জীবনে মোবারক হোসেন বিবাহিত ও এক পুত্র সন্তানের জনক।
১৯৯৮ সালে ঢাকার সাভার থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক জাগ্রতকণ্ঠ পত্রিকায় লেখালেখির মাধ্যমে মোবারক হোসেনের সাংবাদিকতার হাতে খড়ি। এরপর স্থানীয় বিভিন্ন পত্রিকায় লেখালেখির পর ২০০৭ সালে দৈনিক যায়যায়দিন পত্রিকার মাধ্যমে জাতীয় গণমাধ্যমে পা রাখেন। পরবর্তীতে দৈনিক মানিকগঞ্জের কাগজ, সাপ্তাহিক গণচেতনা, দৈনিক মানুষের কণ্ঠ, মানিকগঞ্জের খবর ও জাতীয় বিভিন্ন প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ায় কাজ করেন। বর্তমান অনলাইন নিউজ পোর্টাল জনশক্তির সম্পাদক, জাতীয় দৈনিক কালের কণ্ঠ, যায়য়ায়দিন, ইংরেজী দৈনিক বাংলাদেশ টুডে পত্রিকার স্থানীয় প্রতিনিধি ও দৈনিক টেলিগ্রাম পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার হিসেবে কাজ করছেন।
মোবারক হোসেনের নেশা অন্যায়ের প্রতিবাদ, অনিয়ম দূর্ণীতি ও সমাজের নানা অসংগতি তুলে ধরা। তিনি কখনো অন্যায়ের সাথে আপোষ করেন না। দৃঢ়চেতা এই সাহসী সাংবাদিক প্রশাসনের অসাধু কর্তাব্যক্তি ও প্রভাবশালীদের রোষানলে পরে হামলা ও মিথ্যা মামলার শিকার হয়েছেন। তার জীবনে সব চেয়ে ন্যাক্কারজনক অধ্যায় হলো-যে অপরাধের বিরুদ্ধে তিনি সারাজীবন যুদ্ধ করে আসছেন, সে অপরাধেই তাকে কারাভোগ করতে হয়েছে। এরপরও তিনি ধমে যাননি। হননি কখনো আদর্শচ্যুত। বৈরি পরিবেশে প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে সত্য কথা লেখার চেষ্টা করেন। সব সময় সত্যের উপর অবিচল থাকেন। জীবননাশ ও চাঁপের মুখে কখনো লিখতে না পারলেও কখনো মাথানত করেন না অ্যান্যায়ের কাছে। মনেপ্রাণে ঘৃণা করেন অন্যায়কে। একজন সৎ ও নিষ্ঠাবান সাংবাদিক হিসেবে এলাকায় রয়েছে তাঁর যথেষ্ট সুনাম। ব্যক্তি হিসেবেও তিনি সৎ, নির্লোভ ও ভাল মনের মানুষ।
সাংবাদিক মোবারক হোসেন বলেন, বিপদগ্রস্থ মানুষের জন্য কিছু করতে পারলে নিজেকে ধন্য মনে হয় ও ভাল লাগে। জীবনে কি পেলাম, তাতে দু:খ নেই। মানুষের জন্য কি করতে পারলাম সেটাই মুখ্য বিষয়। মানুষ আমাকে ভাল জানে জানে, এটাই আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া। পছন্দের কোন রং নেই। যখন যেটা সুন্দর ও ভাল লাগে সেটাই আমার কাছে প্রিয়। তবে সাধা রং বেশি পছন্দ। বিশেষ কোনো খাবারের প্রতি দুর্বলতা নেই। যখন যেটা পাই সেটাই খাই। সখ ও নেশা হলো- সত পথে থেকে মানুষের উপকার ও অন্যায়ের প্রতিবাদ করা।
তিনি আরও বলেন, আমার জীবনে স্পেশাল বলে কোনো দিন নেই। সব দিন একই রকম। সমাজে অসংখ্য অসহায় নির্যাতিত মানুষ। তাদের জন্য যদি কিছু করতে পারি তখন আনন্দ পাই। খারাপ লাগে তখন, যখন সত্য কথা লিখতে ও নির্যাতিত মানুষের জন্য কিছু করতে পারিনা। সব সময় আফসোস করি আর ভাবি, দীর্ঘ জীবন পেলাম। কিন্তু মানুষের জন্য কিছুই করতে পারলাম না।