ফাঁকা হচ্ছে ঢাকা। নাড়ির টানে বাড়ির পথে মানুষ। টার্মিনাল ও মহাসড়কে বেড়েছে ভিড়। ঈদযাত্রার ৬ষ্ঠ দিনে সকাল থেকেই রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্রচণ্ড যাত্রীর চাপ লক্ষ্য করা গেছে। স্টেশনে বিশৃঙ্খলা এড়াতে অতিরিক্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে রেলস্টেশন কর্তৃপক্ষ।
সোমবার (৮ এপ্রিল) সকাল থেকেই কমলাপুর স্টেশনে দেখা যায়, চেকিংয়ের আওতায় এসে শত শত মানুষ স্টেশনে প্রবেশ করছেন। সবার সঙ্গেই রয়েছে ট্রেন যাত্রার টিকিট। ব্যাগ-ট্রলি নিয়ে নির্ধারিত ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন তারা। ট্রেন এলেই দ্রুত উঠে পড়ছেন ঘরমুখী এসব মানুষ।
তবে কারও কাছে টিকিট না থাকলে তাকে ফেরত পাঠাচ্ছেন পুলিশ ও স্কাউটসের কর্মীরা। রেলের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা পুরো বিষয়টি স্টেশনে দাঁড়িয়ে তদারকি করছেন।
এদিকে অতিরিক্ত যাত্রীচাপ সামাল দিতে ট্রেন না বাড়ালে কোচ যুক্ত করেছে বাংলাদেশ রেলওয়ে। এখন পর্যন্ত ঈদযাত্রার ট্রেনের শিডিউল বিপর্যয় না থাকায় অভিযোগ নেই যাত্রীদের।
সকাল ৬টা থেকে ঢাকা (কমলাপুর) রেলস্টেশন থেকে সকাল সাড়ে পর্যন্ত ছেড়ে গেছে ২০টি ট্রেন। সোমবার (৮ এপ্রিল) আন্তঃনগর ৪২, লোকাল-কমিউটার ২৫টি ট্রেন ও ২টি স্পেশাল ট্রেন ঢাকা অঞ্চলের তিন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবে।
ঢাকা রেলস্টেশন ম্যানেজার মাসুদ সারোয়ার গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, আজ দু-একটি ট্রেন কিছু সময়ের জন্য দেরি হচ্ছে কিন্তু কোনো শিডিউল বিপর্যয় কিংবা ট্রেন বিলম্বের ঘটনা ঘটেনি। সকাল থেকে এ পর্যন্ত ২০টি ট্রেন যথাসময়ে ছেড়ে গেছে।
তিনি বলেন, সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস, বেলা ১১টা ১৫ মিনিটে সিলেটের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে জয়ন্তীকা এক্সপ্রেস, বেলা সাড়ে ১১টায় তারাকান্দির উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে অগ্নিবীণা এক্সপ্রেস এবং বেলা ১১টা ৪০ মিনিটে খুলনার উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাবে নকশিকাঁথা এক্সপ্রেস।
এবার ঈদে যাত্রীচাপ সামাল দিতে কমলাপুর স্টেশনে প্রবেশের জন্য করা হয়েছে আলাদা গেট। বাঁশ দিয়ে নির্মাণ করা এসব অস্থায়ী গেটের সামনে দায়িত্ব পালন করছেন রেলওয়ের নির্ধারিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা।
যাত্রীদের সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে বসানো হয়েছে বেশ কয়েকটি সংস্থার অস্থায়ী বুথ। পুলিশ, আরএনবি, র্যাব সদস্যদের এসব বুথে দায়িত্ব পালন করতে দেখা গেছে।
আর দালালের দৌরাত্ম্য ও টিকেট কালোবাজারি না থাকায় বাড়তি যাত্রী যাওয়ার সুযোগও নেই বলে জানিয়েছেন রেল কর্মকর্তারা।
মঙ্গলবার (৯ এপ্রিল) দেশের আকাশে শাওয়ালের চাঁদ দেখা গেলে বুধবার (১০ এপ্রিল) ঈদুল ফিতর উদযাপিত হবে। আর চাঁদ দেখা না গেলে বুধবার ৩০ রোজা পূর্ণ হবে। সেক্ষেত্রে ঈদ হবে বৃহস্পতিবার (১১ এপ্রিল)।