সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৩ অপরাহ্ন

খাসমহল মসজিদ উদ্বোধন করে আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করলেন এমপি জ্যাকব

জনশক্তি ডেক্স:
  • আপডেট সময়: শনিবার, ২১ অক্টোবর, ২০২৩ ৭:৩৬ pm

আধুনিকতার ছোঁয়ায় নির্মিত বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম পরিবেশ বান্ধব “চরফ্যাসন কেন্দ্রীয় খাসমহল মসজিদ” এর শুভ উদ্বোধন করেন যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ্ব আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকব এমপি। ২০ অক্টোবর শুক্রবার জুমার নামাজের পূর্বে উদ্বোধন শেষে এমপি জ্যাকব বলেন, আমার জীবনে স্বপ্ন ছিল একটি দৃষ্টিনন্দন মসজিদ নির্মাণ করা। আমার সেই স্বপ্ন বাস্তবায়ন হওয়ায় মহান আল্লাহর কাছে লাখো শুকরিয়া আদায় করছি। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে চরফ্যাসন উপজেলার প্রায় সহস্রাধিক মসজিদের ইমামসহ প্রায় ৫ সহস্রাধিক আলেম ও মুসল্লি উপস্থিত ছিলেন। শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে প্রায় ৫ শতাধিক মহিলা এখানে নামাজ আদায় করেন। ভূগর্ভস্থ ফ্লোরসহ চার তলা বিশিষ্ট এই মসজিদের আয়তন ৫৩ হাজার ২ শত বর্গফুট। এই মসজিদে এক সাথে সাড়ে ৪ হাজার মুসল্লি নামাজের আদায়ের ব্যবস্থা রয়েছে। মহিলাদের জন্য রয়েছে আলাদা প্রবেশ পথ।

মসজিদের অভ্যন্তরে ইমাম মুয়াজ্জিন ও খাদেমগদের থাকার সুব্যবস্থা রয়েছে। একসঙ্গে ২ শত জনের ওযু, গোসল এবং টয়লেটের অত্যাধুনিক ব্যবস্থা রয়েছে। এটি বাংলাদেশে নির্মিত সর্বপ্রথম গ্লাস গম্বুজ মসজিদ। দিনের স্বচ্ছ আলোতে নামাজ পড়া যায়। ফলে দিনের বেলায় কোন বৈদ্যুতিক বাতি জ্বালানোর প্রয়োজন হয়না। মসজিদের বাহিরে শ্বেত পাথরের দীর্ঘ লম্বা সুউচ্চ ধাপের সিঁড়ি যেন মুসল্লীদের মসজিদ পানে আগমনে অনায়াসে আকৃষ্ট করছে। মসজিদের প্রতিটি তলা পরিস্কার পরিচ্ছন্নতার অনবদ্য প্রয়াস অবাক করার মতো। মসজিদের পাশে অবস্থিত জ্যাকব টাওয়ারের চুঁড়ায় লাগানো মাইকে যখন আজানের সুমধুর ধ্বনি শোনা যায়, তখন দূরদুরান্তের মুসল্লীগদের মাঝে ধর্মীয় অনুভূতির আমেজে ধর্মপ্রাণ মুসলমানদের মসজিদ পানে আসতে আকৃষ্ট করছে।

শৈল্পিক ও দৃষ্টিনন্দন কারুকার্যের এই মসজিদ বাংলাদেশে বিরল। উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলার চরফ্যাসন উপজেলায় সুউচ্চ “জ্যাকব টাওয়ার” এর পাশে অবস্থিত এই মসজিদ। পরিবেশ সুরক্ষা ও আবহাওয়া উপযোগী করে উপকূলীয় এলাকায় নির্মাণ করা হয়েছে এই দৃষ্টিনন্দন মসজিদটি। মসজিদের দেয়ালে সিরামিক ইটের নিপূন গাঁথূনীর মধ্য দিয়ে দিয়ে প্রবেশ করছে প্রকৃতির নির্মল বাতাস। মসজিদের ভিতর-বাহিরে রয়েছে নান্দনিক রং বেরংয়ের এলইডি লাইটের আলোক রশ্মি। প্রকৃতিবান্ধব নির্মাণ শৈলীর এই মসজিদ ধর্মপ্রাণ মানুষকে আরাম আয়াসে ইবাদতে আকৃষ্ট করবে। মসজিদের নির্মাণকাজ শেষ হতে টানা প্রায় ৬ বছর সময় লেগেছে। মসজিদের বাহিরে সিরামিক ইটের গাঁথুনিতে সাজানো চত্বরটি প্রাণ জুড়িয়ে যায়। বাংলাদেশের খ্যাতিমান ডিজাইনার ভোলার কৃতি সন্তান স্থপতি কামরুজ্জামান লিটনের শিল্প সৌকর্যের অপরূপ স্থাপনা এটি।

চরফ্যাসন পৌরসভার নির্বাহী প্রকৌশলী শামীম হাসান বলেন, ২০১৮ সালে মসজিদের প্রথম নির্মাণকাজ শুরু হয়। মসজিদ নির্মাণে জাতীয় সংসদ ভবনে ব্যবহ্নত উচ্চ ক্ষমতা সম্পন্ন সাদা ফেয়ার ফেস সিমেন্ট ব্যবহার করা হয়েছে। মসজিদে সাদা ফেয়ার ফেস পলেস্তার আবরন। যার স্থায়িত্ব প্রায় শতবছর। নান্দনিক সৌন্দর্য্য বর্ধনে ফোয়ারা আর দৃষ্টিনন্দন সজ্জিত ফুলের বাগান আর বিভিন্ন রংয়ের লাইটিং করা হয়েছে।

পৌর মেয়র মো. মোরশেদ বলেন, বাংলাদেশের নান্দনিক মসজিদ এটি। প্রাকৃতিক পরিবেশে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিরা স্বাচ্ছন্দ্যে নামাজ পড়তে পারবেন এখানে। পরিবেশ ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, জেলা পরিষদ ও চরফ্যাসন পৌরসভা এবং সংসদ সদস্য আবদুল্লাহ আল ইসলাম জ্যাকবের ব্যক্তিগত অর্থায়নে মসজিদের নির্মাণকাজ সম্পন্ন হয়েছে।

শেয়ার করুন:

আরো সংবাদ
© All rights reserved © janashokti

Developer Design Host BD