মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে ইজারাদারের চাঁদা দাবির প্রতিবাদে মুরগি ব্যবসায়ীদের ৩ দিন ধরে চলছে ধর্মঘট। উপজেলার শায়েস্তা ইউনিয়নের সাহরাইল বাজারে গত শুক্রবার থেকে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন স্থানীয় মুরগি ব্যবসায়ীরা।এতে দুর্ভোগে পড়েছে সাহরাইল বাজারের সাধারণ ক্রেতারা।এদিকে অতিরিক্ত অর্থ দাবির বিষয়টি স্বীকার করেছেন সাহরাইল বাজারের ইজারাদার।
রোববার সকালে সরেজমিনে দেখা গেছে, সাহরাইল বাজারে মুরগি ব্যবসায়ীরা মুরগি বিক্রি বন্ধ করে ধর্মঘট চালিয়ে যাচ্ছেন। বাজারের ক্রেতারা মুরগি কিনতে এসে মুরগি না পেয়ে ফিরে যাচ্ছেন। প্রতিদিন গাড়িতে করে খামার থেকে মুরগি আসে সাহরাইল বাজারের ব্যবসায়ীদের কাছে। ব্যবসায়ীরা তাদের চাহিদা অনুযায়ী মুরগি ক্রয় করে খুচরা হিসেবে বিক্রি করেন। গত শুক্রবার সাহরাইল বাজারের ইজারাদার আব্দুল জলিল প্রতিটি মুরগির গাড়ি থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করে। মুরগি ব্যবসায়ীরা ২০০ টাকা দিতে অস্বীকার করলে তাদের মধ্যে বিরোধ শুরু হয়। পরে বাজারের সকল মুরগি ব্যবসায়ী মুরগি বিক্রি বন্ধ করে ধর্মঘট পালন করেন।
মুরগি ব্যবসায়ী আব্দুর রাজ্জাক বলেন, শুক্রবার হঠাৎ করে প্রতিটি মুরগির গাড়ি থেকে ২০০ টাকা করে চাঁদা দাবি করেন বাজারের ইজারাদার আব্দুল জলিল। আমরা আমাদের ভাড়া নেওয়া দোকানে ব্যবসা করেও প্রতিদিন ইজারাদারকে ৪০ টাকা করর খাজনা দেই। আবার মুরগির গাড়ি প্রতি ২০০ টাকা কিভাবে দেব?
মুরগি ব্যবসায়ী মো: আজিজুল বলেন, মুরগির গাড়ি প্রতি ২০০ টাকা দিয়ে আমরা ব্যবসা করবো কিভাবে। অতিরিক্ত অর্থ দাবির বিষয়টি অযৌক্তিক। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছি।
আনসার আলী নামে ক্রেতা বলেন, দুইদিন ধরে বাজারে এসে ঘুরে যাচ্ছি, মুরগি কিনতে পারছি না। বাজারের ইজারাদার ও মুরগি ব্যবসায়ীদের মধ্যে যে বিরোধ চলছে তা দ্রুত নিষ্পত্তি হওয়া দরকার।
সাহরাইল বাজারের ইজাদার আব্দুল জলিল বলেন, বাজারে যে টাকা খাজনা ওঠে তা দিয় আমাদের চলে না। তাই মুরগি ব্যবসায়ীদের গাড়িপ্রতি ১০০ টাকা করে দিতে বলি। এছাড়া বাজারে মুরগির গাড়ি ডুকলে যানজট লেগে যায়। এতে বাজার পরিচালনায় অসুবিধা হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা দিপন দেবনাথ বলেন, বিষয়টা আমি জেনেছি। খুব দ্রুত এবিষয়ে প্রয়োজনী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।