নির্বাচন নিয়ে যেন আর কখনও আস্থার ঘাটতি না হয়, সে জন্য ‘কপোত’ অ্যাপস তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব শফিউল আজিম। তিনি বলেন, এর মধ্যে দিয়ে আগামী দিনের নির্বাচনে আরও স্মার্ট সেবা দেওয়া হবে।
শনিবার (২৯ জুন) সকালে রাজশাহীতে অনুষ্ঠিত কর্মশালার উদ্বোধনী অনুষ্ঠান প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
রাজশাহীতে এ দিন নির্বাচনী ব্যবস্থাপনায় ব্যবহৃত রেজাল্ট ম্যানেজমেন্ট সফটওয়্যার (আরএমএস) এবং ‘কপোত’ অ্যাপসের ব্যবহার সহজীকরণ সংক্রান্ত কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়। সকাল ১০টায় রাজশাহী আঞ্চলিক লোক প্রশাসন প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে কর্মশালার উদ্বোধন করেন শফিউল আজিম।
এ সময় তিনি বলেন, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশন বদ্ধপরিকর। নির্বাচন নিয়ে যেন কখনও আস্থার ঘাটতি না হয় সেজন্য ‘কপোত’ অ্যাপসটি তৈরি করা হয়েছে। এ অত্যাধুনিক স্মার্ট অ্যাপসটির ব্যবহার কীভাবে আরও সহজ করা যায়, সেই লক্ষ্যে নির্বাচন সংশ্লিষ্ট সকলকে নিয়ে রাজশাহীতে প্রথমবারের মতো এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়েছে। আগামীতে সকল বিভাগে এমন কর্মশালার আয়োজন করা হবে। সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টার মধ্যে দিয়ে ভবিষ্যতে আরও স্মার্টভাবে সেবা দেওয়া সম্ভব হবে বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
কর্মশালায় বিশেষ অতিথি ছিলেন, নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ, রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) তরফদার মো. আক্তার জামীল, রাজশাহীর জেলা প্রশাসক শামীম আহমেদ ও আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা দেলোয়ার হোসেন। সভাপতিত্ব করেন ইসি সচিবালয়ের যুগ্ম সচিব মনিরুজ্জামান তালুকদার। রিটার্নিং অফিসার, সহকারী রিটার্নিং অফিসার, প্রিসাইডিং অফিসার হিসেবে দায়িত্বপালনকারীসহ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট ৭০ জন কর্মকর্তা দিনব্যাপী কর্মশালায় অংশ নেন।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দিন প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর কাস্টিং ভোটের সংখ্যা জানাতে প্রত্যেক প্রিসাইডিং অফিসারকে নির্দেশনা দেওয়া হয়। এ জন্য তাদের ‘কপোত’ নামের অ্যাপস দেওয়া হয়। এ অ্যাপসে কেন্দ্রের নাম ও ভোটার সংখ্যা উল্লেখ থাকে। প্রতি দুই ঘণ্টা পর পর গৃহীত ভোটের সংখ্যা এতে আপলোড করার ব্যবস্থা রাখা হয়েছে।
এ ছাড়া এর আগে আরএমএস নামে আরেকটি সফটওয়্যার চালু করা হয়েছে। এই অ্যাপস দিয়ে দ্রুততম সময়ে ফলাফল পাঠানোর ব্যবস্থা রয়েছে। কিন্তু অনেক প্রিসাইডিং অফিসার তাদের ভোটের তথ্য সময়মত আপলোড করতে পারেননি। পরে তারা এসএমএস ও হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে ভোটের সংখ্যা নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে পাঠিয়েছেন। একসঙ্গে অনেক হিট হওয়ার কারণে অ্যাপস ধীরগতি হওয়ায় এমনটি হয়েছে বলে ধারণা করা হয়।