‘অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উন্নয়ন করতে হবে’ উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, ‘সমাজে অপরাধের ধরন পাল্টেছে। এখন আগের সেই সামাজিক অবস্থা নেই। তাই অপরাধ নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতির উন্নয়ন করতে হবে।’
আজ মঙ্গলবার (২১ মে) রাজধানী সূত্রাপুরের আলোচিত আশিকুর রহমান অপু হত্যা মামলার কিশোর আসামির আপিল শুনানির একপর্যায়ে প্রধান বিচারপতি এসব কথা বলেন।
এ সময় বেঞ্চের অপর তিন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি মো. আবু জাফর সিদ্দিকী ও বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় ‘কিশোর গ্যাং’ প্রসঙ্গ টেনে প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘সমাজে বেপরোয়া কিশোর গ্যাং নিয়ে খবর হয়েছে। এক্ষেত্রে শিশু, শিশু বললেই হবে না। একসময় এরাই অপরাধে জড়ায়।’
সম্প্রতি ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক ব্যবসা, জমি দখল, নারীদের উত্ত্যক্ত করাসহ দেশের যেকোনো এলাকায় এ ধরনের অপরাধে ‘কিশোর গ্যাং’ জড়িত বলে তথ্য এসেছে। এর পরিপ্রেক্ষিতেই প্রধান বিচারপতি আজ এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জমা দেওয়া এক প্রতিবেদনের তথ্যানুযায়ী, সারা দেশে ২৩৭টির মতো ‘কিশোর গ্যাং’ রয়েছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঢাকা শহরে, ১২৭টি। এসব গ্যাংয়ের (অপরাধী দল) সদস্য এক হাজার ৩৮২ জন। ঢাকার পর চট্টগ্রামে রয়েছে ৫৭টি। এসব দলের সঙ্গে জড়িত ৩১৬ জন।