কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় স্থবির হয়ে পড়ে দেশ। সাধারণ ছুটি ঘোষণা করে দেওয়া হয় কারফিউ। এরই মধ্যে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে শুরু করায় কারফিউ শিথিল করে চলছে সরকারি-বেসরকারি অফিস। তবে রোববার (২৮ জুলাই) থেকে পুরোদমে শুরু হতে পারে সব অফিস এবং কারফিউ শুধু রাতে থাকতে পারে।
বৃহস্পতিবার (২৫ জুলাই) সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দেশের অবস্থা স্বাভাবিক হওয়ায় কর্মকর্তাদের মাঝে স্বস্তি ফিরে এসেছে। রোববার পরিস্থিতির আরও উন্নতি হবে। এ কারণে পুরোদমে অফিস চালু করতে সমস্যা নেই।
এ বিষয়ে জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘রোববার থেকে কীভাবে অফিস চলবে, এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো তথ্য নেই। এ সিদ্ধান্ত আরও পরে জানা যাবে।’
এদিকে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, আশঙ্কা থাকায় কারফিউ আগামী দু-এক দিনের মধ্যে একেবারে উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই। তবে সতর্কতামূলক ব্যবস্থা হিসেবে ও জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে রাতে সীমিত পরিসরে কারফিউ জারি থাকতে পারে।
গত বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান সাংবাদিকদের বলেছিলেন, ‘সেনাবাহিনীর কাজ শেষ হলে, দেশের পরিবেশ যখন ঠিক হবে সেনাবাহিনী তাদের কাজে চলে যাবে। কারফিউ প্রত্যাহার হবে এবং জনজীবন আবারও স্বাভাবিক গতিতে চলবে। আমরা যত তাড়াতাড়ি পারি সেটি ব্যবস্থা করার জন্য কাজ করছি।’
প্রসঙ্গত, কোটা সংস্কার আন্দোলনকে কেন্দ্র করে গত ১৬ থেকে ২১ জুলাই দেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এ সময় পুলিশসহ দেড় শতাধিক নিহতের খবর পাওয়া গেছে। একই সঙ্গে বিটিভি, মেট্রোরেল, সেতুভবন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তরসহ বিভিন্ন সরকারি স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালায় দুর্বৃত্তরা।