রবিবার, ১০ ডিসেম্বর ২০২৩, ০৫:২৯ অপরাহ্ন

যমুনার উন্নয়নে ১০ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

জনশক্তি ডেক্স:
  • আপডেট সময়: বুধবার, ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ৭:২৬ pm

যমুনা নদীর তীর রক্ষা ও নাব্যতা বৃদ্ধিতে বাংলাদেশকে ১০ কোটি ২০ লাখ মার্কিন ডলার ঋণ সহায়তা অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।

বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিসের পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ‘যমুনা রিভার সাসটেইনেবল ম্যানেজমেন্ট প্রজেক্ট-১’ শীর্ষক প্রকল্পের আওতায় এই অর্থ ব্যয় করা হবে। এক্ষেত্রে যমুনা নদীতীর সুরক্ষা, নাব্যতা বৃদ্ধি, নদীতীরের মানুষদের বাস্তুচ্যুত হওয়া থেকে রক্ষা করা, তাদের জীবনযাত্রার মান বাড়ানো এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে সহায়তা করতে এ ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।

বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প প্রস্তাবিত প্রকল্পগুলোর একটি সিরিজের মধ্যে প্রথম। এটি পর্যাপ্ত গভীরতার সঙ্গে নেভিগেশন চ্যানেলগুলোকে উন্নত করতে সাহায্য করবে। যা সারা বছর বড় পণ্যবাহী জাহাজগুলোকে চলাচলে সহায়তা করতে পারে। এটি অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন পুনরুজ্জীবিত করতে এবং আঞ্চলিক সংযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এটি নদীভাঙন ও বন্যা থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রক্ষা, স্থানীয় জনগণের জীবন-জীবিকা ও সম্পদের সুরক্ষা এবং নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ তৈরি করতে সহায়তা করবে।

প্রকল্পটি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো ফুলছড়ি, গাইবান্ধা এবং কালিহাতী অতিক্রম করে যমুনার দুটি চ্যানেলে প্রকৃতিভিত্তিক সমাধান ও উদ্ভাবনী নদী কাঠামো এবং নৌ-চলাচলে সহায়তা করবে। উন্নত নেভিগেশন চ্যানেলগুলো বাস থেকে যাত্রী ফেরিতে বদলকারীদের জন্য উন্নত নিরাপত্তা এবং স্বস্তা পরিবহন দেওয়ার মাধ্যমে প্রায় এক লাখ লোককে উপকৃত করবে।

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়েছে, প্রকল্পটি যমুনা নদীর তীরে বসবাসকারী দুর্বল মানুষের জন্য দুর্যোগ এবং বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি হ্রাস করার দিকেও মনোনিবেশ করবে। প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন লোককে একটি বিমা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে এবং এক-তৃতীয়াংশেরও বেশি সুবিধাভোগী হবেন নারী। বিমা ট্রিগার সক্রিয় হলে বিমা-ধারকরা ডিজিটালভাবে অর্থ পাবেন। কিন্তু প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ সুরক্ষা তহবিল থেকেও উপকৃত হবে।

বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদৌলায় সেক বলেন, যমুনা পৃথিবীর বৃহত্তম এবং গতিশীল নদীগুলো একটি। এর ওপরে লাখ লাখ মানুষের জীবন ও জীবিকা নির্ভর করে। তবুও জলবায়ু পরিবর্তন এবং ক্রমবর্ধমান পানির স্তরের কারণে নদী ভাঙন প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে। তাদের দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়।

শেয়ার করুন:

আরো সংবাদ
© All rights reserved © janashokti

Developer Design Host BD