রবিবার, ০৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:৫৩ পূর্বাহ্ন

যেকোনো মূল্যে ইন্ডাস্ট্রির চাকা চালু রাখতে হবে : শ্রমসচিব

জনশক্তি ডেস্ক
  • আপডেট সময়: সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২৪ ৬:৪১ pm

শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের নবনিযুক্ত সচিব এ এইচ এম শফিকুজ্জামান বলেছেন, ‘ইউরোপ-আমেরিকার ক্রেতারা (বায়ার) আমাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে। এখন আমাদের ঘুরে দাঁড়ানোর পালা। যেকোনো মূল্যে ইন্ডাস্ট্রির চাকা চালু রাখতে হবে। ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ হয়ে গেলে মালিকদের যেমন লোকসান হবে, তেমনি শ্রমিকরাও কাজ হারিয়ে বেকার হয়ে যাবেন।

সোমবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে নারায়ণগঞ্জের চাষাঢ়া বিকেএমইএ ভবনে নিটশিল্পের সূতিকাগার নারায়ণগঞ্জ অঞ্চলে শ্রম শৃঙ্খলা বজায় রাখার স্বার্থে সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের নিয়ে আয়োজিত মতবিনিময়সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। পরে সাংবাদিকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করেন তিনি।

শ্রমসচিব শফিকুজ্জামান বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য বাংলাদেশকে গার্মেন্টশিল্পে নাম্বার ওয়ান পজিশনে নিয়ে যাওয়া। আমাদের প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়ও এটি চান।

আমি মালিকপক্ষকে নিয়ে হতাশ। আমাদের শ্রমিক প্রতিনিধিদের কথা শোনার ধৈর্য না থাকলে তো এটা সমাধান হবে না। তাদের কথা শুনতে হবে। শ্রমিকদের সঙ্গে ম্যানেজমেন্টের অনেক বিভেদ রয়েছে।

আমাদের এসব জায়গায় ফোকাস করা দরকার।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫ আগস্টের পর অনেক বড় বড় মালিক পালিয়ে গেছেন, অনেকে আইনের আওতায় চলে এসেছেন। সেখানে বেতন নিয়ে সমস্যা হচ্ছে। প্রথমে বেক্সিমকো থেকে এ সমস্যা শুরু হয়। সরকার ইতোমধ্যে একটি ফান্ড তৈরি করে সমাধান করেছে।

আমি মনে করি, এগুলো বড় কোনো সমস্যা নয়।’
শ্রমসচিব আরো বলেন, ‘আমাদের দেশ থেকে অনেক অর্ডার চলে গেছে। ক্রিসমাসের অর্ডার বেশির ভাগই চলে গেছে। পাশাপাশি আন্দোলনের সময় অনেক দিন ইন্ডাস্ট্রি বন্ধ ছিল। এ ছাড়া গ্যাস ও বিদ্যুতের সমস্যা রয়েছে। এ কারণেও আমাদের উৎপাদন ব্যাহত হচ্ছে। এগুলো মেনে নিয়েই আমাদের এগোতে হবে।’

বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেম বলেন, ‘শ্রমিকদের যেকোনো ন্যায্য দাবির সঙ্গে বিকেএমইএ ও বিজেএমইএ কাজ করে। শ্রমিক অসন্তোষ অব্যাহত থাকলে বিদেশি কম্পানিগুলো বাংলাদেশে বিনিয়োগ না করে অন্য দেশে চলে যাবে। এতে করে বাংলাদেশ অর্থনৈতিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হবে। শ্রমিকরা বেকার হয়ে পড়বেন।’

বিজেএমইএ সভাপতি খন্দকার রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘গত দেড় বছরে অর্ডার কম থাকাসহ নানা কারণে ২৭০টি ফ্যাক্টরি বন্ধ হয়ে গেছে। এই মুহূর্তে সাভার আশুলিয়া ও গাজীপুরে শ্রমিক অসন্তোষের কারণে ১০ থেকে ১৫ শতাংশ অর্ডার অন্য দেশে চলে গেছে। তাই গার্মেন্টস সেক্টরকে টিকিয়ে রাখার স্বার্থে গার্মেন্টস সেক্টরে স্থিতিশীলতা জরুরি।’

বিকেএমইএ সভাপতি মোহাম্মদ হাতেমের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়ের শ্রম অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) মো. তরিকুল আলম, শিল্প পুলিশ সদর দপ্তরের ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মো. সিবগাতউল্লাহ পিপিএম, শিল্প পুলিশ-৪ অতিরিক্ত ডেপুটি ইন্সপেক্টর জেনারেল মোহা. আসদুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদার, বিজেএমইএর সাবেক সভাপতি কাজী মনিরুজ্জামান, নারায়ণগঞ্জ চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি মাসুদুজ্জামান প্রমুখ।

শেয়ার করুন:

আরো সংবাদ
© All rights reserved © janashokti

Developer Design Host BD