“কৃষক বাঁচলে বাচবে দেশ” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে কাচা-পাকা তরিতরকারিসহ সব ধরণের কৃষিপণ্য পাইকারি বিক্রয়ের আড়ৎ উদ্বোধন করা হয়েছে। শুক্রবার (৪ জুন) বাদ জুমা দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চচলিক সড়কের কিটিংচর-চর নয়াডাঙ্গি এলাকায় এই কাচা তরকারি বিক্রির আড়ৎ আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্ধোধন করা হয়।
জানাগেছে, মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর উপজেলা সবজি চাষের জন্য বিখ্যাত। এরমধ্যে উপজেলার জয়মন্টপ ইউনিয়নের কিটিংচর চর, চর আজিমপুর ও নয়াডাঙ্গিসহ আশপোশের এলকায় সব চেয়ে বেশি সবজি ও ফল উৎপাদন হয়। এসব এলাকার অধিকাংশ কৃষক সবজি অাবাদের সাথে জড়িত। কিন্তু কাছাকাছি কোনো আড়ৎ না থাকায় এসব এলাকার কৃষকরা তাদের উৎপাদিত সবজি ও ফলের ন্যায্য মুল্য থেকে বঞ্চিত হয়ে আসছিল। অনেক সময় দুরদুরান্তের আড়তে কৃষিপণ্য বিক্রি করতে গিয়ে পরিবহন খরচ মেটাতে লোকশানের মুখে পড়েন তারা। এতে সবজি চাষে আগ্রহ হারিয়ে ফেলে কৃষকরা।
এমনাবস্থায় এলাকার কৃষকদের বাঁচাতে এগিয়ে আসে স্থানীয় একতা সামাজিক সংগঠন। কৃষকদের উৎপাদিত সবজিসহ সব ধরণের কৃষিপণ্য বিক্রি সহজলভ্য করতে হেমায়েতপুর-সিঙ্গাইর-মানিকগঞ্জ আঞ্চচলিক সড়কের কিটিংচর-চর নয়াডাঙ্গী এলাকায় আড়ৎ মেলানোর উদ্যোগ নেন সংগঠনিটি।
শুক্রবার বাদ জুমা দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের মাধ্যমে আড়তটি আনুষ্ঠানিক ভাবে উদ্বোধন করেন একতা সংগঠনের সভাপতি কাজী আইয়ূব আলী।
এসময় আড়তের জমির মালিক মোঃ আহাদনুর মোল্লা, একতা আড়ৎ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মোঃ রমিজ উদ্দিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ রতন মিয়া (দারোগালী), জসিম উদ্দিন পাখি, সদস্য মোঃ কোহিনূর রহমান ও ইউপি সদস্য মোঃ আব্দুস ছালামসহ স্থানীয় কৃষক, পাইকারি ব্যবসায়ী ও এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।
আড়তের সভাপতি কাজী আইয়ুব জানান, এলাকার কৃষকদের দু:খ কষ্ট লাঘবের কথা চিন্তা করে আড়তটি মেলানো হয়েছে। কৃষকরা যেন সহজে তাদের উৎপাদিত সবজি ও অন্যান্য ফসলাদি ন্যায্য মুল্যে বিক্রি করতে পারে। তাছাড়া এখানে অনেক বেকার যুবকদের কর্ম সংস্থান সৃষ্টি হবে। আড়তে কৃষক ও পাইকারদের থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা রয়েছে বলে জানান তিনি।