মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: মানিকগঞ্জের সিংগাইরে পাঁচ ভুয়া র্যাব সদস্যকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী।
আজ শনিবার সকালে উপজেলার জামশা ইউনিয়নের আমতলা গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
ভুয়া র্যাব সদস্যরা হলেন, ফরিদপুর জেলার রাধানগরের নগরকান্দা গ্রামের সিকান্দারের ছেলে শামিম (শামিম র্যাব-১ এ কর্মরত বলে জানা যায়), মালেক শেখের ছেলে মিরাজুল শেখ (২৮), সোলেমান মৃধার ছেলে সম্রাট (২৮), পাবনা জেলার আটঘড়িয়া থানার পাটেশ্বর গ্রামের মৃত ফরমান প্রামানিকের ছেলে আমিজুদ্দিন (৫০), সাভারের আশুলিয়ার খেজুরটেক গ্রামের মৃত আব্দুর রহিম বক্সের ছেলে জানিব (৬২)। জানিব নিজেকে ড্রাইভার হিসেবে পরিচয় দিয়েছেন।
পুলিশ ও স্থানীয়দের সূত্রে জানা যায়, জামশা ইউনিয়নের আমতলা থেকে ঢাকার দোহারের জয়পাড়ার বৈদ্যনাথ হালদার এর পুত্র সুমন হালদার নামে এক স্বর্ণ ব্যবসায়ি ও তার সাথে আরো ৩ সঙ্গীকে ১০০ভরি স্বর্ণসহ জোর করে র্যাবের স্টিকারযুক্ত মাইক্রোবাসে তোলে নেয়। (গাড়িটির নম্বর ঢাকা মেট্রো-চ ১৯-৯৪৫৭) স্বর্ণ ব্যবসায়ি সুমন হালদার ও তার ৩ সঙ্গী নিয়ে ব্যবসায়িক কাজে জামশার দিকে আসছিলেন। পথিমধেই র্যাব পরিচয় দিয়ে তাদের ৪জনকে জোর পূর্বক আটিক করে চোখ বেধে গাড়িতে তোলে নিয়ে যাচ্ছিল। জামসার আমতলী এলাকায় তাদের মাইক্রোবাসটি থামলে স্থানীয়রা ভিতরে তাদের চোখ বাধা অবস্থায় দেখতে পায়। তাদের গতিবিধি সন্দেহজনক হলে স্থানীয়রা তাদেরকে চ্যালেঞ্জ করলে অপহরনকারীরা র্যাবের পরিচয় পত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদেরকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে তাদেরকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের থানায় নিয়ে যাওয়া হয়।
স্থানীয়রা ৫ জনকে আটক করতে সক্ষম হলেও সিদ্দিক নামে একজন স্বর্ণ নিয়ে পালিয়ে যায়।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিয়ারুল ইসলাম জানান, ড্রাইভারসহ মোট ৫জনকে আটক করে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে, তাদের আরো একজন সদস্য পলাতক আছে। তাকেও আটকের চেষ্টা চলছে।