মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে জমি দখলের চেষ্টাকালে ভাড়াটে বাহিনীর আঘাতে দুইজন আহত হয়েছেন। এঘটনায় বিক্ষুব্ধ গ্রামবাসি গণপিটুনি দিয়ে রাব্বি নামের এক ভাড়াটে সন্ত্রাসীকে পুলিশে দিয়েছে। এতে ঔ গ্রামে থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে। গত (১৩ এপ্রিল) শনিবার উপজেলার ধল্যা ইউনিয়নের কামুরায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, কামুরা গ্রামের খবির উদ্দিনের সাথে পাশের বাড়ির প্রবাসি জহিরুল ইসলামের জমি নিয়ে দীর্ঘ দিনের বিরোধ চলে আসছিল। এ নিয়ে দুই পরিবারের মধ্যে দ্বন্দ ছিল চরমে। তারই ধারাবাহিকতায় গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টার দিকে খবির উদ্দিনের ছেলে জাফর ও নাতী আশরাফুল ও প্রবাসী ছেলে লিয়াকতের যোগসাজসে একই উপজেলার জামির্ত্তা, বিন্নাডাঙ্গী ও দক্ষিণ ধল্লা গ্রাম থেকে প্রায় ১৫-১৬ জন কিশোর-যুবকদের ভাড়া করে এনে জহিরুল ইসলামের বাড়িতে ভাঙ্গচুর, হামলা ও লুটপাট চালায়। ৫-৬ জন জহিরুল ইসলামের ঘরে ঢুকে ৬ ভরি স্বর্ণের গহনা ও নগদ ২ লাখ টাকা লোটে নেয়। বাকিরা লোহার রড, হকি, হাতুড়ি দিয়ে তাণ্ডব চালায়, ছাড়াও ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এসময় পাশের বাড়ির লোকজন এগিয়ে আসলে ভাড়াটে বাহিনীর আঘাতে চায়না আক্তার ও জানু মিয়া নামে দুইজন আহত হন।
এখবর ছড়িয়ে পড়লে কামুরা গ্রামবাসি ঐক্যবন্ধ হয়ে ভাড়াটে বাহিনীকে ধাওয়া করলে ভাড়াটে বাহিনী সিএনজি যোগে ও দৌড়ে পালিয়ে যায়। তবে রাব্বি নামের ভাড়াটে বাহিনীর এক সদস্যকে ধরে গণপিটুনি দেন গ্রামবাসি। পরে তাকে পুলিশে হস্তান্তর করা হয়। এছাড়া ঘটনাস্থল থেকে তিনটি মটর সাইকেল উদ্ধার করেছে সিঙ্গাইর থানা পুলিশ।
সিংগাইর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি জিয়ারুল ইসলাম বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনা হয়। একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এ ঘটনায় খবির উদ্দিন, তার ছেলে জাফর ও নাতী আশরাফুলকে প্রধান করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে এবং আরও ৫/৬ জনকে অজ্ঞাত রেখে একটি মামলা দায়ের হয়েছে এবং আসামী রাব্বিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকিদেরও গ্রেফতারের জোর চেষ্টা অব্যাহত আছে।