জসিম উদ্দিন সরকার, মানিকগঞ্জ : মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে এক মাটি ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে দুই সাংবাদিকের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজির মামলা করার অভিযোগ উঠেছে। মিথ্যা মামলার শিকার দুই সাংবাদিক হলেন, আনন্দ টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি মোশারফ মোল্লা ও জেটিভি’র প্রতিনিধি আব্দুল গফুর। অবৈধ ভাবে মাটি কাটার প্রতিবাদ ও ফেসবুকে লাইভ করায় ওই দুই সাংবাদিকের নামে মানিকগঞ্জ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ২ নং আদালতে গত সোমবার (২২ এপ্রিল) মিথ্যা মামলাটি করেন উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মৃত পরশ আলীর ছেলে মাটি ব্যবসায়ী এনামুল হক। অনতিবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মোবারক হোসেন ও সদস্য সচিব সুজন মোল্লাসহ স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ। সেই সঙ্গে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান তারা।
সাংবাদিক মোশারফ মোল্লা জানান, উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের মাধবপুর গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী এনামুল হক কতিপয় অসাধু সাংবাদিকের ছত্রছায়ায় সরকারি বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে কৃষি জমির মাটি কেটে ইটভাটাসহ অন্যত্র বিক্রি করে আসছিল। কোনো ভাবেই তার অবৈধ মাটির ব্যবসা বন্ধ করা যাচ্ছিলনা। এলাকাবাসী ও ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকদের অভিযোগের ভিত্তিতে আমরা কয়েকজন সাংবাদিক মাটিকাটার প্রতিবাদ ও বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে লাইভ করি। এতে ক্ষুব্ধ হন মাটি ব্যবসায়ী এনামুল ও তার সহচর কতিপয় অসাধু সাংবাদিক। এরই জেরে গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ ও তাদের অবৈধ মাটির ব্যবসা নির্বিঘ্নে চালাতে আদালতে আমাদের নামে মিথ্যা চাঁদাবাজি মামলা করেন এনামুল হক। যা আদৌ সত্য নয়। পুরো ঘটনাটি মিথ্যা বানোয়াট ও ভিত্তিহীন।
জেটিভির সাংবাদিক আব্দুল গফুর বলেন, মামলা হওয়ার পর বিষয়টি জেনেছি। চাঁদা চাওয়া তো দুরের কথা মামলার বাদি এনামুল হকের সাথে এ বিষয়ে আমার সাথে কোনো কথা হয়নি। কতিপয় অসাধু সাংবাদিক এনামুলকে ভুলভাল বুঝিয়ে আমাকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসিয়েছে। মামলার ঘটনাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা ও সাজানো নাটক।
স্থানীয় বাসিন্দা আমির হোসেন নামে এক ব্যক্তি বলেন, সাংবাদিক মোশারফ মোল্লা পারিবারিক ভাবে ধনাঢ্য মানুষ। তারা অসহায় গরীব মানুষদের সাহায্য সহযোগীতা করেন। এছাড়া তিনি চাঁদাবাজ প্রকৃতির লোক নন। বিষয়টি হাস্যকর। অসৎ উদ্দেশ্যে একটি কুচক্রী মহলের প্ররোচনায় সাংবাদিক মোশারফ মোল্লা ও আব্দুল গফুরের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করেন এনামুল হক।
এদিকে অনতিবিলম্বে মামলাটি প্রত্যাহারের দাবি জানিয়েছেন উপজেলা প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক মোবারক হোসেন ও সদস্য সচিব সুজন মোল্লাসহ স্থানীয় সাংবাদিক সমাজ। সেই সঙ্গে এই ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন তারা।