মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি: সংবাদ প্রকাশের জেরে মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইরে দুই সাংবাদিকের ওপর সন্ত্রাসী হামলার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। বুধবার (২২ মে) হামলার মুলহোতা আনোয়ার সিকদারসহ ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ জনকে আসামী করে এই মামলা করেন ভুক্তভোগী আনন্দ টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন মোল্লা।
মামলার এজহার ও স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, জমি লিখে না দেওয়ায় সম্প্রতি উপজেলার বাঘুলি গ্রামের বৃদ্ধ জহুরা খাতুনকে মারধর করে তার দুই ছেলে আনোয়ার সিকদার ও অ্যাডভোকেট আব্দুল গফুর সিকদার। এঘটনায় মায়ের দায়ের করা মামলায় আনোয়ার সিকদারকে গ্রেফতার করে জেলহাজতে পাঠায় পুলিশ।
এবিষয়ে আনন্দ টিভি ও জেটিভিসহ বিভিন্ন গণমাধ্যমে সচিত্র সংবাদ প্রকাশ হয়। এতে সাংবাদিকদের উপর ক্ষুব্দ হন আনোয়ার সিকদার ও তার সন্ত্রাসী বাহিনী। গত শনিবার সকাল ১১ টার দিকে স্থানীয় বাঘুলি বাজারে একটি হোটেলে নাস্তা করছিলেন সাংবাদিক মোশরফ হোসেন মোল্লা ও আব্দুল গফুর। এসময় দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে তাদের ওপর হামলা চালায় আনোয়ার সিকদার ও তার লোকজন। এতে আহত হন সাংবাদিক মোশারফ হোসেন ও আব্দুল গফুর। তাদের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয় নগদ টাকাসহ দুইটি মোবাইল সেট, মাইক্রোফোন ও ক্যামেরা। খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাদের ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে শান্তিপুর ফাড়ীর ইনচার্জ মামুন অর রশিদ।
এঘটনার মুলহোতা আনোয়ার সিকদারকে প্রধান আসামী করে ৭ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরো ৫-৬ নামে মামলা করেন ভুক্তভোগী আনন্দ টিভির স্থানীয় প্রতিনিধি মোশারফ হোসেন মোল্লা। মামলার অন্য আসামীরা হলেন, উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের বাঘুলি গ্রামের নাহিদ, রাসেল ও চকপালপাড়া গ্রামের মিন্টু মিয়া, লুৎফর রহমান, মজিবর রহমান ও হাবিবুর রহমান। তাদের বিরুদ্ধে হত্যাসহ অবৈধ ভাবে তিন ফসলি জমির মাটি কাটা ও সন্ত্রাসী কার্যকলাপের বহু অভিযোগ রয়েছে।
সিঙ্গাইর থানার পুলিশ পরিদর্শক (ওসি) জিয়ারুল ইসলাম বলেন, প্রাথমিক ভাবে ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় মামলা নথিভূক্ত করা হয়েছে। মামলার প্রধান আসামী আনোয়ার সিকদারসহ অন্য আসামীদের গ্রেফতারের চেস্টা চলছে। কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।