সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশিদের রাখা অবৈধ সম্পদ শনাক্ত ও ফেরত দিতে সুইজারল্যান্ড সরকারকে সহযোগিতার অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র সচিব মো. জসীম উদ্দিন।
গতকাল বাংলাদেশে নিযুক্ত সুইজারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত রেতো রিংলি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। এ সময় এই অনুরোধ জানান তিনি।
পররাষ্ট্র সচিবের অনুরোধের প্রেক্ষিতে সুইস রাষ্ট্রদূত এই বিষয়ে আন্তর্জাতিক মান ও পদ্ধতি অনুযায়ী সম্ভাব্য সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
পররাষ্ট্র সচিব অন্তর্বর্তী সরকারের ছয়টি কমিশন গঠনসহ সরকারের অগ্রাধিকার ও সংস্কার উদ্যোগের কথা রাষ্ট্রদূতের কাছে তুলে ধরেন। অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পদক্ষেপে সমর্থন দেওয়ার অঙ্গীকারের জন্য তিনি সুইস সরকারের প্রশংসা করেন। পররাষ্ট্র সচিব ও রাষ্ট্রদূত বাংলাদেশ-সুইজারল্যান্ড দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ককে ব্যাপকভিত্তিক অর্থনৈতিক অংশীদারিত্বে রূপান্তরিত করতে দুই দেশের আগ্রহের কথা জানান।
পররাষ্ট্র সচিব বাংলাদেশের এলডিসি স্নাতকোত্তর ট্রেডিং শর্তাবলী নির্ধারণে ডব্লিউটিওতে সুইস সরকারের সমর্থন চান। সচিব আশা প্রকাশ করেন, সুইস সরকার বাংলাদেশি পণ্যগুলোতে ডিএফকিউএফ বাজারে প্রবেশাধিকার কমপক্ষে ২০২৯ সাল পর্যন্ত বাড়িয়ে দেবে। রাষ্ট্রদূত সুইস কর্তৃপক্ষের কাছে বাংলাদেশের অনুরোধ জানানোর আশ্বাস দেন। তিনি আশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশ এলডিসি গ্রাজুয়েশনের পর বার্নে আবাসিক কূটনৈতিক মিশন স্থাপনের কথা বিবেচনা করবে।
বিনিয়োগকারীদের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় রাষ্ট্রদূতকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন।
উভয়পক্ষ রোহিঙ্গা সংকট, নিরাপত্তা ইস্যু, প্রত্যাবাসন নিয়ে আলোচনা করেছে।