স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেছেন, সারাদেশের ৫০ শয্যা হাসপাতালগুলো ক্রমান্বয়ে একশ শয্যায় উন্নীত করা হবে। শনিবার (১৩ জুলাই) সকালে নীলফামারী সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের দীঘল ডাঙ্গি গ্রামে সঞ্জীব-মালতী কমিউনিটি ক্লিনিকের শুভ উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি।
এ সময় মন্ত্রী আরও বলেন, নীলফামারী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জমি অধিগ্রহণ সমস্যার সমাধান হয়েছে। খুব শীঘ্রই অন্যান্য সমস্যা সমাধান করে দ্রুত নীলফামারী মেডিকেল কলেজকে পূর্ণাঙ্গ রূপে চালু করা হবে। সেই সঙ্গে ২৫০ শয্যায় উন্নীত হওয়া নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালের প্রয়োজনীয় চিকিৎসক, জনবল পদায়ন এবং নতুন ভবনের আসবাবপত্রের চাহিদার বিপরীতে বরাদ্দ প্রদান করা হবে।
২০২০ সালে প্রধানমন্ত্রীর একটি ঘোষণা ছিল দেশের জেলা সদরের হাসপাতালগুলোতে স্থাপন করা হবে আইসিইউ এবং কার্ডিওলজি ইউনিট। চার বছরেও সেটি বাস্তবায়ন হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, আমরা চেষ্টা করছি খুব অল্প সময়ের মধ্যে এগুলো বাস্তবায়ন করা হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, কমিউনিটি ক্লিনিক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী খুব পছন্দের। সারা পৃথিবীর মানুষ এই কমিউনিটি ক্লিনিককে সম্মান করে। আমি আশা করি এই কমিউনিটি ক্লিনিকের মাধ্যমে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষ স্বাস্থ্যসেবা গ্রহণ করবে। জনসাধারণের কাছে অনুরোধ করছি আপনারা কমিউনিটি ক্লিনিকে গিয়ে নিজেদের ব্লাড পেসার ও ডায়াবেটিক চেকআপ করাবেন, গর্ভবতী নারীরা এই কমিউনিটি ক্লিনিকে আসবেন এবং সবসময় এই ক্লিনিকের সাথে যোগাযোগ রাখবেন। এখান থেকে যোগাযোগ থাকলে গর্ভবতী মায়েরা যেকোনো স্বাস্থ্য সমস্যায় পড়লেও উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পারবেন। সুতরাং কোনোভাবেই আপনারা গাফলতি করবেন না। আমরা সিজারিয়ান সেকশন কমানোর জন্য চেষ্টা করছি। আর কমিউনিটি হেলথ কেয়ার ক্লিনিকগুলোকে যদি আমরা আরও সচল করতে পারি তাহলে অনেক রোগ কমিউনিটি ক্লিনিকই মনিটর করতে পারব। তাই কমিউনিটি ক্লিনিকে আপনারা আসবেন এবং সবসময় যোগাযোগ রাখবেন।
উদ্বোধন শেষে সঞ্জীব-মালতী কমিউনিটি ক্লিনিক পরিদর্শন করে সেখানে নিজের ব্লাড প্রেসার চেক করান স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ডা. সামন্ত লাল সেন। সর্বশেষে কমিউনিটি ক্লিনিক প্রাঙ্গণে তিনটি গাছের চারা রোপণ করেন মন্ত্রী।
এ সময় নীলফামারী-৪ আসনের সংসদ সদস্য সিদ্দিকুল আলম, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. জাহাঙ্গীর আলম, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ডা. আবুল বাসার মো. খুরশীদ আলম, জাতীয় স্থানীয় সরকার ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক মনোজ কুমার রায়, রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক ডা. এ.বি.এম. আবু হানিফ, ভারপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসক ফারুক আল মাসুদ, সিভিল সার্জন ডা. হাসিবুর রহমান, পুলিশ সুপার মোকবুল হোসেন, নীলফামারী পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি দেওয়ান কামাল আহমেদ, সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আবুজার রহমান, সদর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু হেনা মোস্তফা কামালসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।